দুই শালিক নতুন পর্বের আপডেট দেবা কে মুক্তি করা 01 জানুয়ারি




দুই শালিক সিরিয়ালের নতুন পর্বের আপডেট,


পর্বের শুরুতে আমরা দেখতে পাই দেবাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন সেখানে ঝিলিকের বাবা-মা আসে। ওকে কেন ধরে নিয়ে যাচ্ছে ওর কি অপরাধ জানতে চাইলে। বলে দেখুন সবাইকে জনে জনে ধরে আমি বলতে পারবোনা। উনি অন্যায় করেছে তাই ওনাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছি। ঝিলিকের মা বলে আমরা দেবা কে কিছুতেই নিয়ে যেতে দেবো না। তখন ঝিলিকের মাকে ধাক্কা দেয়। দেবা তখন রেগে গিয়ে আইনের লোকের কলার ধরে। এরপর দেবা কে বলে আইনের লোকের গায়ে হাত দেওয়া আর বাঘের গলায় হাত বোলানো দুটোই সমান। আগে চল তারপরে খাতা খুলে দেখাবো তোর শাস্তি কি হবে। এই বলে দেবা কে ওখান থেকে নিয়ে চলে যায়। এখন সমতা কমলা মাসিকে বলে তুমি এসবের ভিতরে যেও না মাসি তখন তোমাকেও কিছু একটা কেস দিয়ে ভিতরে ভরে দেবে। সমতার মা বলে মেয়ে লক্ষী মন্ত হলে সংসার করে আর অলক্ষী হলে বিয়ের রাতেই ঘর ভাঙ্গে। ঝিলিকের মা তখন গিয়ে বলে আমার মেয়ে অলক্ষী নয়। সমতা মাসি তখন বলে তোমার মেয়ে অলক্ষী না হলে দেবা কে ফুলশয্যার দিন লকাপে ঢুকতে হলো কেন ।


আঁখি তখন বলে আমার জন্য দেবা কে ধরে নিয়ে গেছে আমি দেবা কে ছাড়িয়ে আনবো। পল্টু বলে আমি তোর পাশে আছি। আস্তে আস্তে চার আনা ঝিলিকের বাবা-মা এবং গ্রামের সকলে বলে আমরা তোর পাশে আছি। ঝিলিকের মা বলে পি য়ার কে এর কি ক্ষতি করেছি আমরা। বস্তির লোকজন ছাতা বাড়ির কোন বারা ভাতে সাই দিয়েছে। পল্টু বলে প্রথম থেকেই পি আর কে এর ছেলের দেবার উপরে রাগ ছিল। আঁখি মনে মনে ভাবে গৌরব স্যার এটা কেনো করবেন। যতটুকু আমি জানি উনি উনার বাবার মতো নন। নিশ্চয়ই কোন ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। আমাকে এক্ষুনি ঝিলিকের সাথে কথা বলতে হবে। আঁখি সাইটে গিয়ে ঝিলিক কে কল দেয় কিন্তু ঝিলিকের ফোন সুইচড অফ ছিল। তাই একটা ম্যাসেজে লিখে দেয় দেবা বিপদ এ আসে ওকে  বাঁচাও । 




ঝিলিকের বাবা বলে কাল সকালে আমরা দেবাকে আনতে যাবো। কিন্তু আঁখি বলে কাল সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবো না আমি এখনই যাবো দেবাকে আনতে। তখন বল্টু এবং সকলে বলে আমরা সবাই যাবো। তারপর সকলে মিলে দেবা কে নিয়ে আসতে যায়। অন্যদিকে আইনের লোক দেবা কে নিয়ে আসে থানায়। গাড়ি থেকে নামিয়ে দেমাকে বলে কিরে মাথাটা খুব গরম তাই না। চাইলে তোর মাথা কেন এখানে তোর পুরো শরীরটাই ঠান্ডা করে দিতে পারতাম। কিন্তু তোর জন্য অন্য নির্দেশ আছে। আজকে তোর ফুলশয্যা ছিল তাই না কিন্তু তোর কপালে ফুল ও নেই খাট নেই। যার সাথে পাঙ্গা নিয়েছিস সে তোর জন্য সব ব্যবস্থা করে রেখেছে। এরপর উনি পি আর কের কাছে কল দিয়ে বলে কাজ হয়ে গেছে। তখন পি আর কে বলে কাল সকাল বেলা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বড় পরিমাণের একটা এমাউন্ট চলে যাবে।


এদিকে থানার বাইরে বস্তির সব লোকজন এসে ভিড় করে। দেবা কে ছেড়ে দেবার জন্য দাবি জানাই। কিন্তু ভেতর থেকে কেউ এত রাতে দেখা করতে রাজি হয় না। বলে কাল সকালের আগে দেখা করা যাবে না। আঁখি পল্টু আর চার আনা ওখানে থেকে বাকি ওদেরকে বাসায় পাঠায় দেয়। অন্যদিকে ছাতা বাড়িতে ঝিলিক রান্নাঘরে কফি তৈরি করছিল। সেখানে গৌরবের মা গিয়ে বলে কি হয়েছে আঁখি তোর গৌরবের সাথে কি ঝামেলা হয়েছে। ঝিলিক বলে আমি খুব খারাপ তাই না মা। গৌরব এর মা বলে তু্ই খারাপ হলে কি আমি তোকে আমার ছেলের বউ করতাম। বরং তুই আমার অনেক উপকার করেছিস। তুই না থাকলে আমার ছেলেটাকে সংসারের প্রতি মন দেওয়াতে পারতাম না। 


তবে কাল কিন্তু গৌরব খুব ভয় পেয়ে গেছিল। আর কখনো এভাবে তুই আলাদা হয়ে যাবি না আঁখি। ঝিলিক বলে সঙ্গেই তো থাকতে চাই কিন্তু কেন জানি না বারবার সরে যাচ্ছি। এ কথা বলে ঝিলিক ওখান থেকে চলে যাই। ঝিলিক কফি নিয়ে রুমে আসে গৌরব কে দেবে বলে। গৌরব কে বলে আপনাকে আমার কিছু কথা বলার আছে। কালকে বলতাম আমি কিন্তু মনের অবস্থা ছিল না বলার মত। এতদিন ধরে আপনি যা দেখেছেন তা ভুল। আপনি আমাকে যা জেনেছেন তা ভুল। কাল রাতে যেটা দেখেছেন সেটাও ভুল। এমনকি ওই ছবিটাও ভুল। কারণ আপনি যাকে চেনেন জানেন ও আঁখি যখনই বলতে যাবে তখনই গৌরব তার হাত থেকে কফির মগ টা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তারপর ঝিলিক কে জা নই তাই বলে অপমান করে। বলে আমি কোনো ভুল করিনি। ঝিলিক বলে হ্যা আপনি কোনো ভুল করতেই পারেননা। 



আপনি কোতো পড়াশোনা করেসেন। আপনি তো ভুল করতে পারেননা। কিন্তু জানবেন আমি ও ভুল করিনি। আপনার জীবনে আমার আশা আমার কপালে ছিল তাই আমি এসেছি। আপনার জীবন নষ্ট করতে আমি আসিনি। আমি আপনার জীবন সুরক্ষিত করতে এসেছি। গৌরব বলে সে অধিকার আমি তোমাকে দেইনি। ঝিলিক বলে আপনি দিন বা না দিন আপনার স্ত্রী হিসেবে এটা আমার কর্তব্য। আর আমি আমার কর্তব্য অবশ্যই পালন করব যতদিন আমি আপনার সাথে আছি। গৌরব বলে তার মেয়াদ ও বেশিদিন নেই। কোন সম্পর্ক মিথ্যের ওপরে গড়ে উঠতে পারে না। এটা বলে গৌরব চলে যাই। ঝিলিক বলে গড়ার আগে আমি আপনার জীবনটা সুরক্ষিত করে দিয়ে যাব। শুধু আপনার নয় আখি দেবা ওদের ও। পি য়ার কে এর শাস্তি দেওয়ার পরে আমি আপনার জীবন থেকে চলে যাব।


Comments